সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে বাংলাদেশ

আপডেট : December, 15, 2015, 6:44 pm

সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরবের নেতৃত্বে মঙ্গলবার গঠিত ৩৪ মুসলিম দেশের নতুন সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এই জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে তাতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল বিন আহমেদ আল-জুবাইর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে অন্যান্য মুসলিম দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ এই জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, এই সামরিক জোটের ‘যৌথ অপারেশন সেন্টার’ হবে রিয়াদে। ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ জোটের ঘোষণা দেওয়া হলো।

প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, ইসলামিক উগ্রপন্থা নামক রোগের সঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে ইসলামি বিশ্বের নজরদারি থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসলামিক উগ্রপন্থা নামক রোগ ইসলামি বিশ্বকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি মুসলিম দেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। …তাই এসব লড়াই অভিযানে সমন্বয় ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সৌদি আরব ও বাংলাদেশ ছাড়াও বাহরাইন, বেনিন, শাদ, কোমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গায়না, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তান, কাতার, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন থাকছে এই জোটে।

ইন্দোনেশিয়াসহ আরও দশটির বেশি মুসলিম দেশ এই জোটকে সমর্থন জানিয়েছে বলেও সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।তবে আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান ও সিরিয়াকে এ জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিসর ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে নতুন করে সমন্বয় ঘটাবে এই জোট।