কটন বাড হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ!

আপডেট : February, 4, 2016, 6:42 pm

কান পরিষ্কার করতে আমরা অনেকেই কটন বাড ব্যবহার করি। কটন বাট ব্যবহার আবার অনেকের কাছে নেশায় পরিনত হয়ে যায় এর সুড়সুড়ি দায়ক মজাদার অনুভুতির কারণে। কানের ভিতরে কটন বাড না দিলে কিছুতেই যেন শান্তি মেলে না। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা কটন বাডের ব্যবহার কানের জন্য কতবড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। কটনবাডের ব্যবহারে কানের ক্ষতিতো হয়ই এমনকি এটার মাত্রাতিরিক্ত ব্যাবহার আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কটন বাডের ব্যবহারে কানের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। কানের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে স্থায়ীভাবে বধির হয়ে যেতে পারেন আপনি। আমেরিকাতে যত মানুষ কানের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রে দেখা গেছে কটন বাডের ব্যবহার জনিত জটিলতার কারণেই তাদের কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কটন বাডের প্যাকেটের উপরে সতর্ক বানী লেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমেরিকায় ৪০ বছর বয়সী এক অদিবাসি ড্যানিয়েল সেলট মারা যান। মৃত্যুর কারন হিসেবে দেখা গেছে তার বহিঃ কর্ণের ইনফেকশন ছিলো যা কানের পর্দা ছিদ্র করে মেনিনজাইটিসের সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন বারবার কটন বাড বাবহারের ফলে তার বহিঃকর্ণে ইনফেকশন হয় এবং পরে তিনি আরো বেশি কটন বাড ব্যবহার করাতে তার বহিঃ কর্ণের ইনফেকশন মধ্য কর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে বিস্তৃতি লাভ করে। ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত কটন বাডের ব্যবহারকেই উল্লেখ করেছেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কটন বাড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভারের একজন মুখপাত্র বলেছেন –কটন বাডের ব্যবহার শত বছর ধরে চলে আসছে। আমরা শিশুদের কানের যত্ন নেওয়ার জন্য ৭০এর দশক থেকে এটা প্রস্তুত করছি তবে প্রাপ্তবয়ষ্কদের মাঝে এটার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন সময় এসেছে এটা নিয়ে ভেবে দেখার। সিগারেটের মত কটন বাডের বক্সেও সতর্কবানী লেখা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে।