মেয়র সাজেল চৌধুরী বেকার যুবকদের অনুকরনীয় ব্যাক্তি

আপডেট : August, 14, 2016, 7:46 am

 

আবু ইউসুফ মিন্টু->>>

কেউবা দারিদ্র বিমোচনের জন্য আবার কেউ বা বেকরত্ব ঘুচিয়ে স্বাভলম্বি হতে খামার গড়ে তুলেন , আবার কেউ বা খামার করেন নিতান্তই সখের বসে কিন্তু সে সখের খামার হয়ে উঠে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত তেমনই উজ্জল সম্ভবনাময় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পরশুরাম পৌরসভার মেয়র সাজেল চৌধুরী।

সাজেল চৌধুরী নিজ এলাকায় সবচেয়ে বড় গরুর খামার করে

13895325_1168125329924779_3181589414143155877_n

প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট খামার করার খবর শুনা গেলেও ফেনী জেলার সবচেয়ে বৃহৎ গরুর খামার গড়ে তুলেছেন পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল। তার খামারে বর্তমানে রয়েছে প্রায় দেড় শ”টি গরু। যাহা শুধু মাত্র কোরবানীর ঈদে বিক্রির উদ্যেশ্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাহা সম্ভাব্য বাজার দর হিসাবে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় কোটি টাকা।

এছাড়াও সাজেল চৌধুরী খামারে গত ছয়মাসে ৫ শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। সাজেল চৌধুরীর গরুর খামার এলাকায় ব্যাপক পরিচিত লাভ করায় স্থানীয় ভাবে গরুর চাহিদা পুরন হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া , ফেনী সহ আশপাশের এলাকার লোকজনও সাজেল চৌধুরীর খামার থেকে গরু কিনতে ছুটে যান।

সাজেল চৌধুরী প্রথমে নওগা থেকে গরুর খামার পরিচালনার কাজে অভিজ্ঞ ৪/৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন এখন স্থানীয় ৫/৬ জন তার গরুর খামারে কাজ করছেন। ওই খামারের গরু গুলি সংগ্রহ করেছেন নওগার শাহপাড় এলাকা থেকে।

সাজেল চৌধুরীর খামারটি পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের উর্ধদতন কর্মকর্তারা সহ বিভিন্ন শ্রেনী প্রেশার লোকজন। তার গরুর খামার দেখে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। তাছাড়া অনেকে গরুর খামার করতে উৎসায়িত হচ্ছেন। পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকার গুথুমা গ্রামে সাজেল চৌধুরী নিজস্ব জমিতে ওই গরুর খামারটি গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও মেয়র সাজেল চৌধুরী বর্তমানে উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন, তার পুকুরে রুই, কাতল, বোয়াল, পাঙ্গাস, কই , শিং, মাগুর সহ বিভিন্ন দেশী জাতের মাছের চাষ করছেন।

সাজেল চৌধুরীর মাছ চাষ ও গরুর খামারে স্থানীয় বেশ কিছু বেকার যুককের কর্মস্থনানের সুযোগ হয়েছে। পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল জানান অনেক আগে থেকে তার ইচ্ছা ছিল বড় আকারের একটি গরুর খামার করা সেই পরিকল্পনা থেকেই ২ শ গরুর জন্য একটি বিশাল আকারের সেট তৈরী করা হয়েছে, ওই খামারে বর্তমানে প্রায় দেড়শ গরু রয়েছে । আসন্ন কোরবানির ঈদেই তার গরু গুলি বিক্রি করা হবে যার আনুমানিক লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে কোটি টাকা। মেয়র সাজেল চৌধুরী জানান তার মাছের খামার থেকে গত মাসে ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হয়েছে। সাজেল চৌধুরী আরো জানান ভবিষ্যতে একটি বড় আকারের ডেইরী খামার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।