সংবাদ সম্মলেনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মামুন

আপডেট : November, 22, 2016, 4:45 pm

প্রেসবিজ্ঞপ্তি->>>
আমি জয়নাল আবেদীন মামুন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দাগনভূঞা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও দাগনভুঞা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সাথে দায়ীত্ব পালন করে আসছি। আমি সততা ও দক্ষতার সাথে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি করে আসছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সংখ্যালঘু হিসেবে না দেখে তাদেরকে একজন মানুষ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সর্ব বিষয়ে সহযোগিতা করে আসছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একজন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সর্বাধিক গুরত্ব দিয়ে সহযোগিতা করে আসছি। আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম অদ্য ২২ নভেম্বর ২০১৬ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার জনৈক পলাশ চন্দ্র সাহা সংখ্যালঘুর ধোয়া তুলে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই। মূলত, দাগনভূঞা উপজেলার ক্ষতিশ চন্দ্র সাহার একমাত্র ওয়ারিশ ও কন্যা হিসেবে আমান উল্যাহপুর মৌজার ৪৮০ নং জমাখারিজ খতিয়ানের ৪৩৬ ও ৪৩৩ দাগে সাড়ে ১১ শতক জমির ভোগ দখলকার ছিলেন শিমুল চন্দ্র সাহা। এক মাত্র কন্যা শিমুল চন্দ্র সাহাকে রেখে ক্ষিতিশ চন্দ্র সাহা ১৯৯৬ সালে পরলোকে যান। তার মৃত্যুর পর তার দোকানের কর্মচারী পলাশ চন্দ্র সাহা নিজেকে ক্ষিতেশের দত্তক সন্তান দাবি করে নিজের নামে উক্ত জমির খতিয়ান সৃজন করে মালিকানা দাবি করে নিন্ম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে নিজের পক্ষে রায় পান। পরে ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের কন্যা শিমুল চন্দ্র সাহা হাইকোর্টে আপীল করলে ২১/৭/২০১৪ সালে তার পক্ষে রায় পান। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক শিমুল চন্দ্র সাহার দুই পুত্র চয়ন চন্দ্র সাহা এবং দহন চন্দ্র সাহার নামে জমাখারিজ খতিয়ান করেন। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিশতক ভুমি ১২ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ২০১৪ সালে সাফ কবলা মূলে ক্রয় করি। বিধি মোতাবেক পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে আমার ক্রয়কৃত জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। উক্ত জমিতে দোকান কর্মচারী পলাশ চন্দ্র সাহা কখনো ভোগ দখলকার ছিলেন না। দোকান কর্মচারী পলাশ চন্দ্র সাহা সেনবাগ উপজেলার কইলডান্ডির মোহাম্মদপুর এলাকার নিশিকান্ত দাসের ছেলে। সে নিজেকে কখনো কৃষ্ণ চন্দ্র দাস আবার কখনো পালাশ চন্দ্র সাহা পরিচয় দিয়ে বলে বেড়ায়। একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে পলাশ চন্দ্র সাহা আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক সুনাম নষ্ট করার হীন উদ্দেশে আমার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে আনীত সকল মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি উক্ত জমির বৈধ মালিক ও ভোগদখলকার রয়েছি। আমি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় মহান সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী ইমেইলে প্রেরিত আমার বক্তব্যটি গণমাধ্যমে হুবহু প্রকাশের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের বিনীত অনুরোধ করছি।

ধন্যবাদান্তে
জয়নাল আবেদীন মামুন
সাধারন সম্পাদক দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগ।
ভাইস চেয়ারম্যান দাগনভুঞা উপজেলা পরিষদ, ফেনী।