রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে নোয়াখালীর ভাষাণচরকে বাছাই

আপডেট : September, 30, 2017, 5:48 am

আলোকিত ডেস্ক->>>

মিয়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা ৯ থেকে ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাষাণচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আপাতত প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রায় ১৫ হাজার একরের এ চরটি রোহিঙ্গাদের সাময়িক আবাসস্থল হিসেবে বাছাই করে রাখলেও প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার।

তবে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে না হটিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক চাপকে কাজে লাগিয়ে দেশে পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক। আর সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্থানান্তরের আগে ওই চরে মানব বসতি স্থাপনের উপযোগী কি না তা পরীক্ষা করা দরকার।

কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বর্তমানে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে রোহিঙ্গা রয়েছে ৯ থেকে দশ লাখ। বন জঙ্গল উজাড় করে পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে মিয়ানমারে নাগরিক এসব রোহিঙ্গাদের বসতি।

কিন্তু আর্থসামাজিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ধস নামার আশংকায় রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ বাসস্থান হিসেবে নোয়াখালীর চারটি চরের সমন্বয়ে ভাষাণচর নামে একটি এলাকাকে বাছাই করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘এই জায়গাটিকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, এখানে কিভাবে ভবিষ্যতে শেল্টার নির্মাণ করা যায়, কোন ধরণের শেল্টার নির্মাণ করলে মানুষের জন্য বসবাসের উপযোগী হবে, আর এই জায়গাটা কতটা বাসযোগ্য হবে। এই গুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালের দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালীর মধ্যবর্তী স্থানে গড়ে ওঠা এ চরে মানব বসতি গড়ে তুলতে আরো কয়েক বছর লাগবে। চরটির মোট আয়তন প্রায় ১৫ হাজার একর হলেও জোয়ারের সময় এর ৩ থেকে ৪ হাজার একর জায়গা সাগরের পানিতে ডুবে যায়।

এছাড়া পূর্ণিমা এবং আমবস্যার জোয়ারের সময় তা ভয়াবহ রূপ নেয়। এছাড়া চরের মাটি বর্তমানে পরিপক্ক না হওয়ায় সেখানে মানব বসতি স্থাপন ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের ভাষাণচরে স্থানান্তরের আগে সেখানকার মাটির যাবতীয় পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে করেন এ সমুদ্র বিশেষজ্ঞ।
সূত্র- সময়