

আলোকিত সময় ডেস্ক->>>
গত ৩ এপ্রিল আফগানিস্তানে কুন্দুজ প্রদেশের একটি মাদ্রাসায় বিমান হামলা চালিয়ে শিশুসহ অন্তত ১০১ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনের জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
হামলার সময় মাদ্রাসাটিতে হেফজ্ শেষ করা ছাত্রদের সনদ ও পাগড়ী প্রদান অনুষ্ঠান চলছিল। সে অবস্থাতেই তালেবান সন্দেহে অনুষ্ঠান স্থলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
আফগানিস্তানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রাদমানিশ বলেন, দাস্তি আর্চি জেলায় ওই বিমান হামলায় ৩০ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৯ জন তালেবানের কমান্ডার পর্যায়ের দায়িত্বশীল ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
বেসামরিক নাগরিক নিহতের বিষয় তিনি বলেন, তালেবানের ওই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বোমা হামলায় বেসামরিক লোকজন ছিলেন কিনা, তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না। সেখানে ব্যাপকসংখ্যক তালেবান যোদ্ধা জড়ো হয়েছিলেন। তারা একটি সামরিক কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে হামলার কিছুক্ষণ পূর্বে ধারন করা কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ্সে দেখা যায়, সেখানে ছোট ছোট ছাত্রদের সনদ ও পাগড়ী প্রধান অনুষ্ঠান চলছিল।
আফগান সরকারের পক্ষ থেকে হামলার স্থানটিকে তালেবানের প্রশিক্ষণকেন্দ্র বলে দাবি করা হলেও তালেবান বলছে বিমান হামলাটি চালানো হয় মাদ্রাসা ও মসজিদে। এতে শতাধিক আলেম ও হাফেজ নিহত হয়েছেন বলেও জানায় তালেবান।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইসহাক জানিয়েছেন, ‘তারা বোমা ফেলেছে’ বলে চিৎকার করছিল কয়েকটি শিশু, কিন্তু বড়রা তাদের শান্ত থাকতে বলেন এবং ‘কিছুই হবে না’ বলে আশ্বাস দেন; আর তখনই বোমাগুলো মসজিদে আঘাত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইসহাক জানিয়েছেন, ‘তারা বোমা ফেলেছে’ বলে চিৎকার করছিল কয়েকটি শিশু, কিন্তু বড়রা তাদের শান্ত থাকতে বলেন এবং ‘কিছুই হবে না’ বলে আশ্বাস দেন; আর তখনই বোমাগুলো মসজিদে আঘাত করে। এ ঘটনার পর থেকেই ফেসবুক সহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।