সোনাগাজীতে স্কুল ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার যাবজ্জীবন ও ছাত্রদল নেতা সহ ৪জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড, ৫ জন খালাস

আপডেট : June, 25, 2019, 7:50 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
সোনাগাজীতে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৫লাখ টাকা জরিমানা, ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন পিয়াস সহ ৪জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড, এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ৫ জন কে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিচারক (জেলা জজ) মামুনুর রশিদ মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় দেন। ১৪ বছর করে দন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বায়জিদ ফয়সল ও ছাত্রদল কর্মী মো. রিয়াদ হোসেন প্রকাশ রিয়াদ। খালাস প্রাপ্তরা হলেন প্রধান আসামির মা বিবি কাউছার, তার ভাই মো. সুমন, অপর ভাই আবু নাছের সোহাগ, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন আলো এবং মো. মাসুদ।
বাদীর পরিবার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরলামছি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগর সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবে স্কুলে যাওয়া আসার সময় উত্যক্ত করত। তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০১৩ সালের ২৫ মে সকাল ৬টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে ওয়াপদা কলোনী সংলগ্ন চৌধুরী লেনের সামনে থেকে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। খাগড়াছড়ির পাহাড়ে নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে রেখে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনায় ওই ছাত্রীর সৌদি প্রবাসী পিতা বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা ৩/৪জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীণ এসআই স্বপন কুমার বডুয়া তদন্ত শেষে ১০জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিচারক (জেলা জজ) মামুনুর রশিদ ১০ জন আসামির মধ্যে ৫জনকে প্রধান আসামি সহ ৫জন দোষী সাব্যস্ত করে সাজা এবং অপর ৫জন কে নির্দোষ হিসাবে খালাস প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি আবু বক্কর ছিদ্দিক সাগর ২০১৮ সালে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত অপর ৪আসামি কারাগারে রয়েছে।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট ইউছুফ আলমগীর। বাদী বেলায়েত হোসেন এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।