ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে শঙ্কা, প্রয়োজনে বিকল্প প্রস্তুতি

আপডেট : September, 2, 2019, 9:37 pm

আলোকিত সময় ডেস্ক->>>

দীর্ঘ ২৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাউন্সিল। কাউন্সিল ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। আছে শঙ্কাও। কারণ এর আগে ছাত্রদলের যেসব কমিটি হয়েছে তা ছিল ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো সংগঠন। দলীয় বিভাজনে গণতান্ত্রিক সংগঠনে চাপিয়ে দেয়া হতো অগণতান্ত্রিক কমিটি!

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল বাধাগ্রস্ত হতে পারে, এ কারণে অনলাইনে বিকল্প প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কাউন্সিল সফল করতে বিকল্প এ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ছাত্রদলের বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আলোচনায় আছেন ৮ সিন্ডিকেটের ৩৩ প্রার্থীও। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল।

কাউন্সিল নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ছাত্রদলের প্রার্থীদের মধ্যেও। সভাপতি প্রার্থী মো. এরশাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, কাউন্সিল নিয়ে সংগঠনের মধ্যে একটা বিরোধিতা ছিল। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে গণতান্ত্রিক এ প্রক্রিয়ার পক্ষে। কাউন্সিলের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে আমাকে কাউন্সিলবিরোধীদের তাচ্ছিল্যের শিকার হতে হয়েছে। এখন তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকার গণতন্ত্রবান্ধব নয়, সে কারণে কাউন্সিল নিয়ে একধরনের শঙ্কা থেকেই যায়।’

‘তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ওনার যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সেক্ষেত্রে অনলাইনে কাউন্সিল হলে আমার আপত্তি থাকবে না।’

একই ধরনের মতামত ব্যক্ত করেন সভাপতিপ্রার্থী মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, এস এম সাজিদ বাবু এবং সাধারণ সম্পাদকপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির (বিলুপ্ত) দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী এ প্রসঙ্গে কে বলেন, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনায় তিনি সারাদেশের কাউন্সিলরদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সংগ্রহ করেছেন। এ তালিকা দলের কাছে তিনি জমা দিয়েছেন। তবে কী কারণে অনলাইন নম্বরের তালিকা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।

ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা থেকে অনলাইনে বিকল্প প্রস্তুতি রয়েছে কি-না জানতে চাইলে কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন বলেন, ‘এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সরকার যদি বাধা দেয় সেক্ষেত্রে আমরা পরবর্তীতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’