সোনাগাজীতে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এক জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আপডেট : November, 8, 2019, 5:08 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
খাগড়াছড়িতে কর্মরত ফেনীর সোনাগাজীর এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আবুল ফয়সল (২৬) নামে এক যুবক নিজেকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে ঘটনার সাথে আরো ৯জন জড়িত ছিল বলে স্বীকারোমূলক জবানবন্দি দেয়। সে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর গ্রামের সুলতান আহম্মদ মিয়ার ছেলে। ৬ নভেম্বর বুধবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম চরচান্দিয়া গ্রামের শফি উল্যাহর বাড়ি থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ খালেদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশদল তাকে গ্রেফতার করে। সে শফি উল্যাহর জামাতা।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা নূরুল আলম খাগড়াছড়ি জেলায় টিএসআই (ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ২৩ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে তার গ্রামের বাড়িতে ১০/১২জন সশস্ত্র ডাকাতদল ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সে সহ পরিবারের সদস্যদের কে রশি দিয়ে বেধে মারধর করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২০ভরি স্বর্নালঙ্কার, নগদ ২লাখ টাকা ও ৮টি মোবাইল ফোন সহ ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা বা তার পরিবার সদস্যরা তাৎক্ষণিক মামলা দায়ের না করলেও ঘটনার ১৪দিন পর গত ৬ নভেম্বর সকালে পুলিশ কর্মকর্তা নূ্রুল আলম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং-০৫, তাং- ০৬-১১-২০১৯খ্রি.। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই দিন আবুল ফয়সলকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাকে ৭ নভেম্বর ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করলে সে ফোজাদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক সে সহ আরো ৯জন জড়িত রয়েছে বলে স্বীকারোমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ ঘটনার। সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বাকী আসামিদের গ্রেফতার ও মামলা তদন্তের সার্থে জবানবন্দিতে উঠে আসা ডাকাতদের নাম গোপন রাখা হয়েছে।