সোনাগাজীতে নিরাপদ আশ্রয়ে ২০ হাজার মানুষ বহু মানুষ ছাড়েননি ঘর-বাড়ি

আপডেট : November, 9, 2019, 9:09 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>>
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সোনাগাজীতে শনিবার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত উপজেলার ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ২০হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের গবাদি পশুগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। ব্যাপক প্রচারণার পরও এলাকার বহু মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পদ রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে যাননি। এরপরও ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় অর্ধশত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, চিড়াসহ বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর কখনও গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মাঝারি ধরণের বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যক্ষেণ করতে শনিবার সকাল থেকে পৃথকভাবে স্থানীয় সাংসদ লে. জেনারেল অব. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব, সন্ধ্যায় ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন, সোনাগাজী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আরেফিন, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ সহ জনপ্রতিনিধিরা উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে লোকজনের খোঁজখবর নেন। পৃ্থক ভাবে তারা জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
জনগণকে সচেতন করে তুলতে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।