সোনাগাজীতে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ উপেক্ষা করে ভূমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে সমাবেশ

আপডেট : December, 1, 2019, 7:06 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>

ফেনীর সোনাগাজীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ উপেক্ষা করে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য তথ্য গোপন করে ভূমি অধিগ্রহনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সোনাগাজী উপজেলা ভূমি মালিক ও কৃষক ঐক্য পরিষদ। রোববার বিকালে উপজেলার চরখোন্দকার গ্রামের ৫নং স্লুইজ গেইট নামক স্থানে এই প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, সরকার ও বেজা দেশের সর্ব বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ফেনীর সোনাগাজী ও চট্রগ্রামের মীরসরাই উপজেলার পর্যায়ক্রমে ৩০ হাজার একর ভূমি অধিগ্রহনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলার ৭টি মৌজার প্রায় ১৭হাজার একর ভূমি অধিগ্রহনের কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় থাক খোয়াজের লামছি মৌজার একাংশ, চরএলেন, চর নাছরিন, বাহির চর, দক্ষিণ চরখোন্দকার ও চরখোন্দকার মৌজার ভূমি অধিগ্রহনের লক্ষে নোটিস জারি করেন। তারা বলেন সোনাগাজী উপজেলার ৭টি মৌজার মধ্যে ৬টি মৌজার জমি অধিগ্রহন করলে এলাকাবাসীর কোন আপত্তি থাকবেনা। কিন্তু একটি মৌজার ভূমি নিয়ে মালিক ও কৃষকদের আপত্তি রয়েছে। চরখোন্দকার মৌজার চরখোন্দকার গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। ওই মৌজায় প্রায় ১হাজার ৭০০ একর জমি তিন ফসলী জমি। এছাড়া উক্ত মৌজায় মৎস্য প্রকল্প, আমন, আউশ ও বরো মৌসুমে রবি শস্য উৎপাদন হয়। উক্ত জমিগুলো লায়েক পতিত আখ্যা দিয়ে তথ্য গোপন করে ভূমি অফিসের এক শ্রেনির অসাধু কর্মকর্তারা কতিপয় ভূমি দস্যুদের সাথে আঁতাত করে ভূমি অধিগ্রহনের জন্য নোটিস জারি করেছেন। নোটিস পেয়ে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তারা আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন কোন ফসলি জমি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অধিগ্রহন করা হবেনা। অথচ তিন ফসলি জমি ও গ্রাম উচ্ছেদ করে ভূমি অধিগ্রহন করার পাঁয়তারা করছে অসাধু চক্রটি। আমরাও চাই সোনাগাজীতে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হোক। কিন্তু তিন ফসলী ভূমি ও বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করে ভূমি অধিগ্রহন করলে এলাকাবাসী যাবে কোথায়? এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। হাজার হাজার গরু-মহিষ, ভেড়ার চারণ ভূমি এই মৌজায়, এছাড়া নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে একটি কেওড়া বাগান। চেখোন্দকার মৌজাটি অধিগ্রহনের আওতায় আনলে জীব বৈচিত্রও হুমকির মুখে পড়বে। এই মৌজাটি অধিগ্রহনের আওতায় নিলে পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছি। চরখোন্দকার মৌজাটি অধিগ্রহনের আওতায় আনলে এলাকার নদী উকূলীয় জনপদের কয়েক হাজার কৃষক, জেলে ও প্রাণি সম্পদের সাথে সম্পৃক্ত খামার মালিক শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়বে। তাই আমরা চরখোন্দকার মৌজাটি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় আমরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। সাবেক ইউপি সদস্য, ভূমি মালিক হাজী মজিবুল হকের সভাপতিত্বে ও উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেনসোনাগাজী উপজেলা ভূমি মালিক ও কৃষক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক, আমেরিকা প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন মৃধা, ইউপি সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নূরুল আলম, রাসেল আমিন, হারুনুর রশিদ, আবু্ল কালাম, আবদুর রাজ্জাক ও সিরাজুল হক বাদশা প্রমুখ।