
জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
সোনাগাজীতে হত্যা, নারী নির্যাতন ও ডাকাতি সহ একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী দাউদুল ইসলাম ওরফে জামাই দাউদকে গ্রেফতার করেছে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ভাদাদিয়া গ্রামের ছয় ভাইদের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ১আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে জের ধরে ভাদা দিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিন (৫৫) নামে এক প্রবাসীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং মুখে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করে আসামি দাউদুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। এ ঘটনায় নিহত জামাল উদ্দিনের পুত্রবধূ জাকিয়া আক্তার বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৫/৬জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছিলেন। মামলাটি পুলিশের অপরাধ বিভাগ পিবিআইয়ের কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। এর আগে দাউদের শ্বশুর শাহ আলম গং একই রিবোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ৭ফেব্রুয়ারি রাতে জামাল উদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৫ মে এক নারীকে নির্যাতন করার অপরাধে দাউদ সহ ৮জনের নামে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে দাউদ আত্মগোপনে চলে যায়। সোনাগাজী মডেল থানার এসআই শহীদুল ইসলাম জানান, দাউদুল ইসলাম ওরফে জামাই দাউদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি ও নারী নির্যাতন সহ ৩টি মামলা রয়েছে। জামাই দাউদ ভাদা দিয়া গ্রামের ছয় ভাইদের বাড়ির শাহ আলমের মেয়ে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে থেকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। দাউদ দাগনভূঞা উপজেলার বেকের বাজার এলাকার বাগের হাট গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। নিজ এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার পর গণরোষের ভয়ে বিগত ৭/৮ বছর পর্যন্ত সে শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে।