৭ দিনের মধ্যে ফেনীর এসআই দুলাল সহ ২৩ জনের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

আপডেট : December, 30, 2019, 10:32 pm

আলোকিত সময় ডেস্ক->>>

থানার কম্পিউটার রুমে নিরীহ মানুষকে নির্যাতন ও ঘুমন্ত মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ফেনী মডেল থানার এস আই দুলাল মিয়া সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে নাছিমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী মামলা দায়ের করেছেন। আদালত ৭দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফেনীর পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।সোমবার ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে এসআই দুলাল মিয়া বিপি নং-৭৯৯৮০৬০৫৪৫, ধলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ

দৌলতপুর বেদরাবাদ গ্রামের মো. হাসেমের ছেলে আবু তাহের সেলিম ও মো. হাসেমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। বাদিনী সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী এবং ধলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দৌলতপুর বেদরাবাদ গ্রামের মাঝি বাড়ির আবদুর রহিমের কন্যা। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট কামরুজ্জামান। লিখিত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২ ও ৩নং আসামির সাথে বাদিনীর পিতা আদুর রহিমের সাথে ১৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ফেনীর দেওয়ানী আদালতে ১৩৮/১৯ইং মামলা চলমান রয়েছে।

২নং আসামি আবু তাহের সেলিম তর্কিত জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে বলে বাদিনীর পিতা সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ ডিসেম্বরের ঘটনা দেখিয়ে ২২ ডিসেম্বর জি.আর ৮৩২/১৯ মামলা দায়ের করেন। বাদিনী তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে গেলে গত ২৪ডিসেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এসআই দুলাল মিয়া, আবু তাহের সেলিম ও মো. হাসেম সহ ১৫-২০জন লোক বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে বাদিনীর পিতার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দরজা জানালা ভাংচুর করতে থাকলে বাদিনী সহ তার পরিবারের সদস্যরা চোর-ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। আসামিরা দরজা ভেঙে বাদিনীর পিতার বসত ঘরে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদিনী সহ তার পরিবারের সদস্যদের কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। আসামিদের পিটুনিতে নাছিমা আক্তার, তার চার বছর বয়সী শিশুপুত্র আরাফাত হোসেন, আবদুর রহিমের ছেলে মো. আনিছুল হক, জিয়াউল হক, মফিজুল হক, জসিম উদ্দিন ও তৌহিদুল ইসলাম সাকিব সহ সাতজন আহত হন।

এ সময় আসামিরা আহতদের ৪টি মোবাইল ফোন, মানি ব্যাগে থাকা ১৭হাজার টাকা ও ৫ বস্তা ধান নিয়ে যায়। আহতদেরকে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকাৎসা দেওয়া হয়েছে। বাদি পক্ষের আইনজীবী এডঃ কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছিলাম। আদালত বাদিনীর আবেদন আমলে নিয় ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফেনীর পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।