সোনাগাজীতে মাছ চোরদের ভুয়া কৃষক সাজিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ভূমি মালিক ও মৎস্য চাষীদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : April, 30, 2020, 4:33 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
ফেনীর সোনাগাজীতে মাছ চোরদের ভুয়া কৃষক সাজিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ভূমি মালিক ও মৎস্য চাষীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে এনামুল কবির চৌধুরী রাসেল ও জামাল উদ্দিন রাসেল নামে দুই ভূমি মালিক ও মৎস্য চাষী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তারা সহ কয়েকজন ব্যক্তি খরিদ ও বন্দোবস্ত সূত্রে ভোগ দখলকার থেকে ২০০৮ সাল থেকে চরখোন্দকার মৌজায় মাছ চাষ করে আসছে। সেখানে সংঘবদ্ধ একটি মাছ চোর চক্র প্রতিনিয়ত মাছ চুরি ভূমি মালিক ও মৎস্য চাষীদের হয়রানি করে আসছে। ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট রাতে মাছ চরির সময় হাতে নাতে নূরুল হুদা হুদন, নাছির উদ্দিন ও আইয়ূব আলী নামে তিন চোর পাহারাদারদের হাতে ধরা পড়ে। তৎকালীণ সময়ে স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকে তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানা ও ভবিষ্যতে মাছ চুরি করবেনা বলে মুছলেকা দেন। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। এসব ভূমি মালিক ও মৎস্য চাষীদের ভূমি দস্যু বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাতে থাকে। এ নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এসব অপপ্রচারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা অভিযোগ করেন, তারা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তারা লক ডাউন শেষ হলে আইনের আশ্রয়ে যাবেন। তারা আরো দাবি করেন, চরখোয়াজের লামছি মৌজায় দাঁড়িয়ে ফেসবুকে লাইভ দিয়েছে চরখোন্দকার মৌজার জমি বলে। তারা কোনটি চরখোন্দকার আর কোনটি চরখোয়াজের লামছির জমি সেটাও অবগত নয়। এসব অপকর্মকারী চক্রের একজন গডফাদার আছে যিনি কমিশন খায়, চর ও দের নিয়ন্ত্রণ করে। তার নিয়ন্ত্রণে অপকর্মকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভয়ে তারা নাম প্রকাশ করতে পারছেনা। ওই গড ফাদারের নাম প্রকাশ করলে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।