ফেনীতে দেনমোহরের টাকা নেয়ার পর স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে পুনরায় মিথ্যা মামলা

আপডেট : June, 25, 2020, 3:24 pm

 

জসিম উদ্দিন ফরায়েজী

 

 

দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের আবুল কাশেমের পুত্র প্রবাসী আব্দুল ওয়াহাব এরসাথে ২০০৭ সালে,একই উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল মাজিদ এর কন্যা নুর নাহার এর বিয়ে হয়। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় আব্দুল ওহাব আবার প্রবাসে চলে যায়, স্বামী প্রবাসে থাকায় নুর নাহার পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হলে তার শ্বশুর আবুল কাশেম নিষেধ করলে তাকে গালিগালাজ করিতে থেকে। একদিন নুর নাহার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়, সেখান থেকে তার শশুরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এর পর তাদের বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে মামলা নম্বর ১২৪/২০১৭। যাহা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেয়া হয়। নুর নাহার জবানবন্দিতে বলেন আসামি পক্ষের সাথে তার যাবতীয় বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে বর্তমানে আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নাই ।

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ই কয়েকজন আইনজীবীর মাধ্যমে দেনমোহরের তিন লক্ষ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, সিদ্ধান্তের দিন নুর নাহার ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। ০৭ জানুয়ারী আরো ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন নুর নাহার। টাকা নেয়ার পরও সান্ত হয়নি নুর নাহার, ১৯ জনুয়ারি ২০২০ দেনমোহরের টাকা দাবি করে পুনরায় দেনমোহরের টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা করেন নুর নাহার। ভুক্তভোগী আবুল কাশেম বলেন আমার ছেল আব্দুল ওহাব সহজ সরল ছেলে, সে প্রবাসে থাকা অবস্থায় সব টাকা স্ত্রীর নামে পাঠাইতো সব রশি আছে আমার কাছে, সে ওই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে,এখন আমার ছেলে মানসিক টেনশন এ দেশে চলে আসছে, দেশে আসার পর থেকে অসহায় হয়ে পড়েছি আমার পুরো পরিবার। তারপর ছেলের বউ নুর নাহার বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে ,আমরা এই হয়রানি থেকে বাঁচতে চাই।