বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, ছেলের বাড়িতে তরুণীর অনশন-অতপর থানায় অভিযোগ

আপডেট : July, 24, 2020, 7:59 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক->>>

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ৩নং পূর্বচন্দ্রপুর মড়েল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ হাবিবুর রহমান মাষ্টারের নতুন বাড়ির বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে নূর মোহাম্মদ আফছার(২৬) কর্তৃক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি রোকেয়া বেগম মিলু(২১) নামের একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতপর মেয়েটি ছেলেদের বাড়িতে গিয়ে অনশন করায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের আশ্বাসে মেয়েটি নিবৃত হয়। অতপর রোকেয়া বেগম মিলু বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের। যা এখনো প্রকৃয়াধীন রয়েছে বলে জানাযয়। অন্যদিকে অভিযোগের পর থেকে আসামি আফসার পলাতক বলে জানায়।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূএমতে, দাগনভূঞার ২নং রাজাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় দুলাল মেম্বার বাড়ির মোহাম্মদ খোকনের মেয়ে রোকেয়া বেগম মিলু(২১)। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর পূর্বে মেয়েটির অপ্রাপ্ত বয়সে একটি বিবাহ সম্পন্ন হয়। তার থেকে বয়সে অনেক বড় খুলনার এক বাসিন্দার সাথে। যেখানে মিলুর স্বামীর বাড়ি অনেক দূরে ও মেয়েটির বয়সের আনমেচুউরিটির কারণে বিবাহটি টিকেনি মর্মে জানা যায়।

এদিকে স্থানীয় আমূভূঁঞার হাট বাজারের ছাএবন্ধু ডিজিটাল স্টুডিও-তে ছবি তোলা ফ্লেক্সিলোড় ও বিকাশের কর্মে কর্মরত নূর মোহাম্মদ আফসার। সেই সুবাধে আজ থেকে অনেকদিন পূর্বে উক্ত স্টুডিও-তে কোন এক ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে ছবি তুলতে যায় রোকেয়া বেগম মিলু। অতঃপর মাঝে মধ্যে বিকাশ ও মোবাইলে লোড় নিতে যায়। যে কারণে মিলু খুব নজরে পড়ে আফসারের। এরই মাঝে স্টুডিও-তে তোলা মিলুর ছবি নিয়ে ভালবাসার আল্পনায় রঙ্গীন স্বপ্ন দেখে আফসার।

যারই এক পেক্ষাদৃষ্টে আফসারের ভালবাসার নিখুঁত কৌশলে মোহিত হন মিলু। তাই আফসারকে নিয়ে আগামী দিনের স্বপ্নে বিভোর। এভাবে তিলে তিলে তৈরী হয় আফসার ও মিলুর ভালবাসার পাহাড়-পর্বত। যার কোন এক পর্যায়ে মিলু আফসারের সাথে পরামর্শক্রমে তার আগের বিয়ের চড়ান্ত ইতি টানেন বলে দাবি করেন মিলু।

তারই ধারাবাহিকতায় গত দুই-একদিন আগে আফসার কর্তৃক মিলুকে গোপনে বিয়ে করার চুড়ান্ত প্রতিশ্রুতিতে দুইজন একসাথে গত ২০-জুলাই’২০ রোজ সোমবার সকাল আনুমানিক ১১:০০টার দিকে ঘরবাড়ি ছেড়ে চিটাগং এক হোটেলে অবস্থান করে। হোটেলে অবস্থান করতে না করতেই আফছার মিলিকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে মিলি সায় না দিয়ে আফসারকে বলে আগে বিয়ে। অতপর আফছার কাজী ও নানা কারণে দেখিয়ে দোকান থেকে স্ট্যাম্প নিয়ে আসে এবং আগে নিজে সাইন করে পরে মিলিকে সাইন করতে দিয়ে বিয়ে করার গ্যারান্টি বলে মিলির হাতে তুলে দেয় বলে মিলি দাবি করেন।

অতপর তারা তাদের সম্পর্কে জড়ায় বলে মিলি দাবি করে। এরমাঝে একরাত ও একদিন অতিবাহিত হলে আফছার দাবি করে তার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মর্মে তাকে বাড়ি থেকে ফোন করছে। তাই সে মিলিকে নিয়ে ফেনীতে রওনা দেয়। উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মর্মে সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্তক্রমে এবং মিলিকে তার বাড়িতে তুলবেন। কিন্তু ফেনী পৌঁছতে না পৌঁছতেই আফসার মাকে হাসপাতালে দেখতে যাবে বলে মিলি থেকে বিদায় নিতে চায়। এতে মিলি সায় না দিয়ে তাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার চাপ দেয়।

অতপর সিলোনিয়া পর্যন্ত আসার পর আফসার মায়ের ওষধ নেয়ার কথা বলে গত ২১-জুলাই রোজ সোমবার বিকালে সটকে পড়ে। পরে মিলি সিএনজি ড্রাইভার থেকে মোবাইল নিয়ে বাড়িতে খবর দিলে তাঁর আত্নীয় হারুন গিয়ে তাকে সিলোনীয়া থেকে ঔদিন বাদ আসর বাড়িতে নিয়ে আসে।

বাড়িতে আসার পর মিলু আফছারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। কিন্তু উপায়অন্তু না পেয়ে আফছারের বাড়িতে অনশন করেন মিলি। এমন এক পেক্ষাপটে স্থানীয় সমাজপ্রতিদের আশ্বাসে মিলু সরে দাঁড়ান বলে সূএ জানায়।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মফিজুর রহমানের কাছে ঘটনাটির সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন ও অবহিত আছেন।