সরকারি প্রজ্ঞাপনে প্রধান শিক্ষক হয়ে গেলেন সহকারি শিক্ষক সোনাগাজী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জটিলতায় তিন মাস বেতন পাচ্ছেননা শিক্ষকরা

আপডেট : November, 8, 2020, 3:38 pm

সরকারি প্রজ্ঞাপনে প্রধান শিক্ষক হয়ে গেলেন সহকারি শিক্ষক
সোনাগাজী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জটিলতায় তিন মাস বেতন পাচ্ছেননা শিক্ষকর

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি সরকারি করণের আদেশে প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন হয়ে গেলেন সহকারি শিক্ষক। জ্যোষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারি শিক্ষক এবিএম সামছুদ্দিন বশরকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হলেও দায়ীত্বরত প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন তাকে দায়ীত্ব হস্তান্তর না করে সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরের ৪আগস্ট শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপসচিব গোপাল চন্দ্র দাস সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১০জন সহকারি শিক্ষককে সরকারি করণ করা হলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে সরকারি করণ না থাকায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়।
আর প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষককের পদ নিয়ে জটিলতার কারণে করোনাকালীণ সময়ে তিন মাস ধরে সরকারি বেতন ভাতা পাচ্ছেননা শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
গত ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জ্যোষ্ঠতার ভিত্তিতে এবিএম সামছুদ্দিন বশরকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তিনি চিঠি পেয়ে গত ১৯ অক্টোবর সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক পর্ষদের সভার মাধ্যমে তিনি দায়ীত্ব গ্রহন করেন। নিয়োগ প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবিএম সামছুদ্দিন বশর বলেন, চলতি মাসের ৩০নভেম্বর পর্যন্ত রয়েছে তার চাকরির মেয়াদ। ৩০ নভেম্বর তার চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবসের শেষ ঘন্টা বাজবে। সরকারি আদেশের চিঠি পেয়ে শিক্ষক পর্ষদের সভার মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়ীত্ব নিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন তাকে দায়ীত্ব হস্তান্তর না করায় তিনি বিপাকে রয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক-কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে। ১৯৪৫ সালে সোনাগাজী বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালের ৩০আগস্ট সরকারি করণ করা হয়। চলতি বছরের ৪ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে সরকারি নীতিমালার যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০জন শিক্ষক সহকারি শিক্ষক হিসেবে এবং ৩জন কর্মচারীর চাকরি সরকারি করণ করা হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করতে হলে মাস্টার্স পাস হতে হবে। সরকারি করণের পূর্ব থেকে দায়ীত্বরত প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন বিএ পাস হওয়ায় তিনিও সহকারি শিক্ষক হিসেবে সরকারি তালিকাভুক্ত হন। সহকারি প্রধান শিক্ষক পদেও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় পূর্বে কর্মরত থাকা শিক্ষকদের মধ্যে কেউ সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে সরকারিকরণ হতে পারেননি। ফলে আগামীতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসির) মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে জনবল নিয়োগ করার কথা রয়েছে। অথবা জ্যোষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারি শিক্ষকদের থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে জানার জন্য পূর্বে দায়ীত্বরত প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীনকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক জটিলতায় শিক্ষকরা তিন মাস বেতন পাচ্ছেননা।