দাগনভূঞায় নাছির ভান্ডারীর পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা

আপডেট : February, 18, 2021, 3:29 pm

সংবাদদাতাঃ->>> দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন ভান্ডারী ও তার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মিথ্যা মামলা, হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে নিশ্চিহ্ন করার পাঁয়তারা করছে দুর্বত্তরা। কুচক্রিমহলের অত্যাচার, হামলা, মামলা ও নির্যাতনে বাড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করেও দুর্বৃত্তদের মিথ্যা মামলার জগদল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। নাছির ভান্ডারী অভিযোগ করেন, একই গ্রামের আবদুল বারেকের পুত্র, ফেনী ফায়ার সার্ভিসের সামনে আম্বিয়া মেডিক্যালের মালিক মনছুর আহম্মদ, তার চাচা দলিল আহম্মদ দুলালের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মনছুর ও দুলাল গং নাছির ভান্ডারীর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। এনিয়ে একাধিক মামলা আদালতে বিচারধীন রয়েছে। নাছির ভান্ডারী পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কিন্তু গত ১০ ফেব্র“য়ারি একই গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আবদুর রশিদকে বাদি করিয়ে নাছির ভান্ডারী, তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম, তার ছেলে আরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম ও জামাই মো. ফয়েজ আহম্মদকে আসামী করে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করান। অথচ উলে­খিত ঘটনার সময় নাছির ভান্ডারী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন না। এদিকে, আবদুর রশিদের দায়ের করা মামলার প্রধান সাক্ষী হয়েছেন আম্বিয়া মেডিক্যালের মালিক মনছুর আহম্মদ এবং দুলাল আহম্মদের মামা আবদুল গফুর ২নং সাক্ষী, ৩নং সাক্ষী আবুল কাসেমও তার মামা, ৪নং সাক্ষী তার মামাতো ভাই রাজরুল। নাছির ভান্ডারী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে চান। তিনি আরো দাবি করেন, তিনটি মোবাইল নাম্বার থেকে প্রতিনিয়ত তাকে ও পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন সন্ত্রাসীরা। নাম্বার গুলো হচ্ছে : ০১৮১৯-৫১২১৩৯, ০১৯৬৩-৮৪০২৬৬, ০১৮৩৩-৩৯১০৫৮। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত প্রাণ নাশের হুমকিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন নাছির ভান্ডারী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তিনি মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে র‌্যাব ও ফেনী পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উলে­খ্য, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নাছির ভান্ডারীর ছেলে আমিরুল ইসলামকেও হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এই মামলায় দুলাল ও মনছুরসহ তাদের সহযোগিরা আসামী রয়েছেন। সে প্রতিহিংসা থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে মনছুর ও দুলাল গং। এমনটাই দাবী করেছেন নাছির ভান্ডারী। এর আগে দুলাল, তার মা, বোন, ভাতিজি ও ভাইয়ের বৌগণ পৃথকভাবে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল।