সোনাগাজীতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পাঁয়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট : May, 22, 2021, 10:28 pm

জাবেদ হোসাইন মামুন->>>
সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরশাহাপুর ও চরখোয়াজের লামছি মৌজায় আরো একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পাঁয়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাহাপুরের সর্বস্তরের জনতা। শনিবার বিকাল চারটায় সোনাগাজী-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কে শাহাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ এই কর্মসূচীতে অংশ নেন।
শাহাপুর তিন ফসলি ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি নূরুল হুদা বেগুর সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন মৃধা, শাহাপুর সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার ছিদ্দিকুর রহমান, তিন ফসলি ভূমি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল, মাস্টার আজিজুল হক, আবদুস ছোবহান ভোলা মিয়া, যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ, মো. নাছির উদ্দিন, মো. কাসেম, আজিজুল হক ও মো. আবদুল মুনাফ বাবুল প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, চরশাহাপুর গ্রামে ইতোপূর্বে দুটি গুচ্ছগ্রাম বা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চরশাহাপুর গ্রামের চরশাহাপুর ও চরখোয়াজের লামছি মৌজায় তিন ফসলি জমিতে আরো একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল নিশানা দিয়ে ভূমিগুলোতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি চিহ্নিত ভূমিতে তিন ফসল চাষ করে গ্রামবাসী জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। দুটি গুচ্ছগ্রাম থাকা স্বত্ত্বেও একই গ্রামে আরো একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা মানে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ বলে দাবি করেন। তারা আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের কাছে উখিয়াবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। তেমনি এই গ্রামে আরেকটি গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ করা হলে গুচ্ছগ্রামের লোকদের কাছে শাহাপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ জিন্মি হয়ে পড়বে। উক্ত ভূমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হলে তিন ফসলি ভূমি ধ্বংসের পাশিপাশি সামাজিক অবক্ষয়েরও আশংকা করেন তারা। সামাজিক স্থিতিশীলতা ও তিন ফসলি ভূমি রক্ষায় অন্য মৌজায় প্রস্তাবিত গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ফসলি জমি রক্ষা করেই গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের আহবান করেন তারা।