সোনাগাজী হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে বৃদ্ধের মৃত্যু, চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ

আপডেট : June, 30, 2021, 8:28 pm

স্টাফ রিপোর্টার->>>
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অক্সিজেন সংকটে মো. আবু তাহের (৭৩) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ থাকলেও চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানায়, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আবু তাহেরকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হার্ট ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূণরায় তাঁর শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। এসময় রোগির স্বজনরা হাসপাতালে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডার চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.রোমানা আক্তার ও নার্স শিমুল আক্তার হাসপাতালে কোন প্রকার অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। ফলে অক্সিজেন সংকটে দুপুর ১২টার দিকে প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে মারা যান বৃদ্ধ আবু তাহের। এ ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোমানা ও নার্স শিমুল আক্তারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকা স্বত্ত্বেও না দেয়ার অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির মেয়ের জামাই আরু মিয়া। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডা. রোমানা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাইফ্লো অক্সিজেন দেয়ার জন্য ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগির স্বজনরা তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেননি। সোনাগাজী হাসপাতালে যে অক্সিজেন সিলিন্ডার গুলো রয়েছে, সে গুলো মূলত এজমা বা স্বল্প শ্বাস কষ্টের রোগিদের দেয়া হয়। এরপরও রোগির ব্যবস্থাপত্রে অক্সিজেন দেয়ার কথা উল্লেখ ছিল। কিস্তু কি কারণ কর্তব্যরত নার্স অক্সিজেন দেননি, তা তিনি জানেননা। এ ব্যপারে
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শীঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলার প্রমাণ ফেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, করোনা ভাইরাসের নমুনার প্রতিবেদন আসলে বুঝা যাবে।