২৮ তারিখে কয়েকটা লাশ ফেলার ভয়াবহ পরিকল্পনা ছিল বিএনপির: ডিবি

আপডেট : November, 9, 2023, 6:46 pm

আলোকিত ডেস্ক:

ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর কয়েকটা লাশ ফেলে বিএনপির রাজনীতি করার ভয়াবহ পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সহিংসতার জন্য এলাকা ভাগ করে দিয়েছিল দলটি। এরই অংশ হিসেবে সহিংসতার চিহ্ন মুছে ফেলতে টার্গেট করে ধ্বংস করা হয়েছিল প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় থাকা সিসি ক্যামেরা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গত ২৮ অক্টোবর দুপুর ১টা ৫৩ মিনেটে ঢুকে পড়ে সহিংসতাকারীরা। প্রথমেই ভেতরে থাকা দুটি গাড়ি তারা ভাঙচুর করে। এর মধ্যে একজন দেয়ালের ওপরে উঠে ভেঙে ফেলে সিসি ক্যামেরাটি।

বাসভবনের বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরাও ভেঙ্গে ফেলে সহিংসতাকারীরা। কাকরাইল থেকে নয়াপল্টন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থাপনায় থাকা সমস্ত সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে তারা। রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনেও ঢুকে পড়ে সহিংসতাকারীরা। সেখানেও তারা ভেঙে ফেলে সিসি ক্যামেরা।

ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শতাধিক নাশকতাকারীকে চিহ্নিত করেছে ডিবি পুলিশ, যারা সেদিনের সহিংসতায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ৩৯ লাখ টাকার সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে নাশকতারকারীরা। স্থাপনার সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলার দায়িত্ব ছিল একটি গ্রুপের। সেদিন তাদের টার্গেট ছিল নিজেদের কর্মীদের লাশ ফেলা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, চতুর্দিকে পুলিশের ওপর, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলাসহ সব সিসিটিভি ভেঙে ফেলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তারা ওপরের নির্দেশেই এ ধরনের কাজ করেছে। প্রায় ৩৯ লাখ টাকার সিসি ক্যামেরা তারা ভাঙচুর করেছে।

হারুন বলেন, তাদের (বিএনপি) পরিকল্পনা ছিল যেনতেন প্রকারে তারা ভাঙচুর করে পুলিশের ওপর হামলা করবে। তখন পুলিশ একপর্যায়ে ধৈর্য হারিয়ে গুলি করলে কয়েকটা লাশ পড়বে। আর সেই লাশ নিয়ে তারা রাজনীতি করতে পারবে।